Back to the Hill ~পাহাড়ে ফিরে চলো

M.N LARMA,MITHUN CHAKMA LIVES,THE BATTLE CONTINUES...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

এই সময়ে এম এন লারমা: যিনি মৃত্যুর পরও নিপীড়িত জনগণের মুক্তির দিশারী;

0 comments

 

এই সময়ে এম এন লারমা: যিনি মৃত্যুর পরও নিপীড়িত জনগণের মুক্তির দিশারী;

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০



   পোট্রেটঃ পাপিয়া চাকমা,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী;

 

 

[গত ১৫ সেপ্টেম্বর এন লারমার ৮১ তম জন্মদিবস ছিল।১৯৩৯ সালের তিনি রাঙামাটির “মাওরুম“ নামে ছোট্ট নদীর/ছড়ার তীরে মাওরুম গ্রামে জন্মেছিলেন। এম এন লারমা কারো কাছে পরিচিত ‘লিডার’,তাঁর ভাই বোনের কাছে পরিচিত মঞ্জু নামে,জুম্ম জনগণের প্রায় সকলের কাছে তিনি অবিসংবাদিত নেতা,পার্টির নামে তিনি পরিচিত “প্রবাহণ “।তাঁর পুরো নাম মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।মহান এই নেতাকে  জানাই লাল সালাম।গত কয়েকদিন আগে তাঁকে নিয়ে অনেকে লিখেছেন,,বলেছেন,আবেগাক্রান্ত হয়েছেন,শ্রদ্ধায় মাথা নত করেছেন এবং কেউ কেউ  বিরুদ্ধাচারণও করেছেন।আমি মনে করি ,এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এম এন লারমার কর্ম,সাধনা,চিন্তার যথার্থ মূল্যায়ন হওয়া দরকার। নিপীড়িত জুম্ম জনগণ এবং ব্যাক্তি এম এন লারমার লড়াইকে একই সূতায় গাঁথা দরকার।এবং পার্বত্য চুক্তি উত্তর প্রজন্মে জুম্ম জনগণের লড়াইকে এগিয়ে নিতে সঠিকভাবে এম এন লারমাকে  উপস্থাপনও এই সময়ের দাবি।এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় যে,প্রত্যেক প্রজন্মকে সামনে এগোনোর জন্য তার পূর্ববর্তী প্রজন্মের কর্ম,চিন্তা,দর্শনকে ক্রিটিক্যালি বিচার করতে হয় এবং সঠিক বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমানিত ভুল ঝেড়ে ফেলে যা নতুন প্রজন্মের জন্য সঠিক,সময়োপযোগী তা গ্রহণ করতে হয়।

৮১ তম জন্মদিবসে এম এন লারমার কর্ম,চিন্তা ও দর্শনের এই সময়ে উপযোগী কয়েকটি দিক নিয়ে মন্তব্য করতে চাই।লেখায় ব্যাপক দুর্বলতা আছে।এবং অনেকের কাছে দুর্বোধ্য ও মনে হতে পারে।পরবর্তীতে এই ভুল সংশোধনের চেষ্টা করব।]

 

১.জুম্ম জনগণের স্বায়ত্বশাসন দাবি:

ব্রিটিশ ভারতে পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যে ছিল।ব্রিটিশদের প্রবর্তিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি আইন ১৯০০’ অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রামে আলাদাভাবে শাসিত হত।১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের সময় অমুসলিম অধ্যুষিত পা.চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তানে জোরপূর্বক অর্ন্তভুক্ত করা হয়।পরে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৪  সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বলবৎ রাখে।এবং পরে শাসনবিধি সংশোধন করে বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও বহিরাগত অনুপ্রবেশে আইনগতভাবে বৈধতা দেয়।এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী এম এন লারমার নেতৃত্বে ৭ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের স্বায়ত্বশাসন দাবি সম্বলিত ৪ দফা দাবি পেশ করেন। কিন্তু জুম্ম  জনগণের এ যৌক্তিক দাবিকে প্রত্যাখান করা হয়।এম এন লারমা গণতান্ত্রিকভাবে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করে যান।এবং সময়ের দাবিতে রাজনৈতিক দল জেএসএস গড়ে তোলেন।পরে ১৯৭৩ সালে দলের সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী গঠন করেন।

জেএসএস প্রধান কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়-

১.জুম্মল্যান্ড নামে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক একক হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন,যা পরিচালিত হবে আইন প্রণয়নের ক্ষমতাসহ একটি নির্ধারিত আঞ্চলিক পরিষদ দ্বারা,এবং জুম্ম জনগণের পরিচিতির সাংবিধানিক স্বীকৃতি।

২.বিডিআর(বাংলাদেশ রাইফেলস,সীমান্তরক্ষী বাহিনী) ক্যাম্প ছাড়া বাকি ছাড়া সকল নিরাপত্তা বাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা।

৩.পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বসতিস্থাপনকারীদের সরিয়ে নেওয়া এবং আসল মালিকদের নিকট জমি ফেরত দেওয়া।

৪.ভারত থেকে জুম্ম শরনার্থীদের ফেরত এনে যথাযথ পূর্ণবাসন করা।

কিন্তু পরবর্তীতে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএস  স্বায়ত্বশাসনের রাজনৈতিক দাবি থেকে সরে আসে এবং ১৯৯৭ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করে।


২.জুম্ম জাতীয়তাবাদ:

এ জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা এম এন লারমা।তিনি  এতিহাসিক বাস্তবতা ও সময়ের দাবিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক  একাত্নতা বোধ থেকে নিপীড়িত জাতিসত্তাসমূহকে এক্যেবদ্ধ করতে জুম্ম জাতীয়তাবাদকে রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে একটা সর্বাত্নক রূপ দেন।জুম্ম  জাতীয়তাবাদ বর্তমান  সময়ে ও প্রাসঙ্গিক।কারণ উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ইসলাম সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জাতিগুলোকে এক্যবদ্ধ করতে জুম্ম জাতীয়তাবাদকে খাটো করে দেখার  কোনো অবকাশ নেই।পার্বত্য চট্টগ্রামে বিকাশের বিভিন্ন স্তরে থাকা নিপীড়িত জাতিগুলোর সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামেও জুম্ম জাতীয়তাবাদ সমানভাবে কার্যকারী।কারণ পাহাড়িদের একটি নির্দিষ্ট জাতির (চাকমা,মারমা,ত্রিপুরা, ম্রো) জাতীয়তাবাদের  মধ্যে বাকি সকল জাতিগুলোকে এত্যবদ্ধ করা সম্ভব নয়।নিপীড়িত জাতিসমূহের এক্যবদ্ধ সংগ্রামের জন্য দরকার একটি বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম যা জুম্ম জাতীয়তাবাদ ধারন করে।এ কথাও স্মরণে রাখা দরকার,জাতীয়তাবাদ একটি বুর্জোয়া আদরশ এবং বিতর্কিত হলেও নির্দিষ্ট  এতিহাসিক বাস্তবতায় তার প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক উপাদান রয়েছে।পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত জাতিসমূহের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনের ক্ষেত্রে  একথা সর্বাংশে সত্য এবং দিনের মত পরিষ্কার।জুম্ম জাতীয়তাবাদ একদিকে আধিপত্যবাদী উগ্রবাঙালী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে আত্নরক্ষামূলক হাতিয়ার অন্যদিকে পার্বত্যাঞ্চলের পশ্চাৎপদ সামন্তীয় সমাজের বিরোধী।পার্বত্য চ্টগ্রামের জনগণের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামকে জোরদার করতে হলে বর্তমান সময়ে এসে এ জাতীয়তাবাদের বিকল্প নেই।


৩.রণনীতি ও রণকৌশল:

পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম পরিচালনায় এম এন লারমার দূরদর্শী নেতৃত্ব,কর্মতৎপরতা,রণনীতি-রণ কৌশল বর্তমান সময়ে ও প্রাসঙ্গিক।১৯৭৭-১৯৭৯ সালে এম এন লারমা বৈদেশিক শক্তির উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে জুম্ম জনগণের নিজস্ব কমিউন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন।গ্রামে গ্রামে পঞ্চায়েত এবং ছাত্র,যুবক,নারী সংগঠন শক্তিশালী করেন।তিনি জনগণের নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধির উপর জোর দেন।তাঁর নেতৃত্বে পার্টি দুই ফ্রন্ট-গণতান্ত্রিক ও সশস্ত্র পন্থায় সংগ্রাম পরিচালনা করে।কিন্তু তিনি শহীদ হয়ে যাওয়ার পর পার্টির গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট অকার্যকর হয়ে যায়।এবং জেএসএস নেতৃত্বের মধ্যে সামরিক লাইন প্রাধান্য পায়।

১৯৮২ সালের ২৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর জেএসএস  এর ২য় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।এই কংগ্রেসে সংগ্রামের লাইন নিয়ে নেতৃত্ব দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।এম এন লারমা ‘রণনীতিগতভাবে দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রাম ও রণকৌশলগতভাবে দ্রুত নিষ্পত্তির লড়াই“ এ তত্ত্ব প্রদান করেন।তার বিপরীতে প্রীতি কুমারের নেতৃত্বাধীন  গ্রুপ ‘রণনীতিগতভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি“র তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।এ গ্রুপটি “বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর নীতি’ অনুসরণ করে পরদেশের সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উত্থাপন করেছিল।

এম এন লারমার তাত্ত্বিক ধারণা তৎকালীন জুম্ম সামন্তীয় সমাজের বাস্তবতার নিরিখে ছিল যুগোপযোগী।আজও জুম্মদের পশ্চাৎপদ সামন্তীয় সমাজ ও গভীরে প্রোথিত লুম্পেন সংস্কৃতি সমাজকে পেছনে টেনে রেখেছে,নিজেদের মধ্যে  সংঘাতে পাহাড়ের সমস্ত সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করছে।তিনি  রণনীতিগতভাবে দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামে পুরনো ঘুনে ধরা সামন্তীয় সমাজকে ভাঙতে চেয়েছিলেন। সমাজের প্রগতি নতুন উপাদানের  সাথে পুরাতন উপাদানের দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে।এম এন লারমার আদর্শ,চিন্তা,কর্ম নতুন উপাদানের প্রতিনিধিত্ব করে।এবং  তিনি ইতিহাসে প্রথমবার পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের সর্বাত্নক অংশগ্রহণে রাজনৈতিক গণজাগরণের সূচনা করেন।তাঁর তাত্ত্বিক ভিত্তিভূমি ছিল জনমুখী,রণকৌশল বাস্তবমুখী এবং সাংগঠনিক কর্মপদ্ধতি ছিল সময়োপযোগী।


৪.রাজনৈতিক আদর্শ ও সংগ্রাম:

এম এন লারমা জাতীয়াবাদী সংগ্রাকে প্রাধান্য দিলে ও মার্কসবাদী,মাওবাদী দৃষ্টিভঙ্গি লালন করতেন।ছাত্রাবস্থা থেকে বামপন্থী লাইনের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল।তিনি  রাঙামাটি কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।এ কমিউনিস্ট পার্টি পরবর্তীতে জেএসএস গঠন,এর তাত্ত্বিক ভিত্তি  এবং কর্মসূচি নির্ধারণে মূল ভূমিকা রাখে।প্রথমদিকে পার্টি মার্কসবাদী,লেনিনবাদী,মাওবাদী লাইনে পরিচালিত হত।তিনি তৎকালীন যুদ্ধরত বার্মিজ কমিউনিস্ট পার্টির মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক চীনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন।কিন্তু সফল হননি।

এছাড়া প্রীতিকুমারের নেতৃত্বাধীন সিএইচটি কমিউনিস্ট পার্টির ও কিছু কার্যক্রম ছিল।পরবর্তীতে জেএসএস গঠন হলে তাঁরা সেখানে যোগদান করে।

ব্যাক্তি এম এন লারমা নিপীড়িত জাতি ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামে এক নিবেদিত বিপ্লবী,সাধক এবং কর্মবীর ছিলেন।৪৪ বছরের কর্মময় জীবনে তাঁর অধিকাংশ সময় কেটেছে নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আদর্শ লালন ও সংগ্রাম পরিচালনায়।

এম এন লারমা কেমন ছিলেন:

এম এন লারমার গণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্য,বিবৃতি ,তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের দেওয়া চিঠিপত্র, স্মৃতিচারন থেকে আমরা তাঁকে যেমন দেখতে পায়-

১.মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা ছাত্রজীবন থেকে প্রতিবাদী ছিলেন।তিনি কাপ্তাই বাঁধের বিরুদ্ধে,সংবিধানে বাঙালি  জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন।

২.মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক,আজীবন সংগ্রামী,বিপ্লবী ও একজন ত্যাগী নেতা।

৩.মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন  একজন ধার্মিক,নিষ্ঠাবান ও সত্যবাদী।

৪.তিনি ছিলেন এক্যপন্থী।ব্যাক্তি ,পারিবারিক,রাজনৈতিক জীবনেও তিনি ছিলেন এক্যপন্থী।

৫.তিনি বলেছেন.“ক্ষমা গুণ,শিক্ষা গ্রহণের গুণ,পরিবর্তিত হওয়ার গুণ-এই তিন গুনের অধিকারী না হলে প্রকৃত বিপ্লবী হওয়া যায় না।

৬.১৯৮৩ সালের ১০ নভেস্বর এম এন লারমা মুমূর্ষূ অবস্থায় আততায়ীদের উদ্দেশ্য বলেছিলেন-“কি,তোমাদেরকে ক্ষমা করে আমরা কি অন্যায় করেছি?আমাকে কিংবা তোমাদের বন্ধুদের মেরে জাতি কি মুক্ত হবে?যাক তোমরা প্ররোচিত ও উত্তেজিত হয়ে যাই করো না কেন জাতির দুর্দশাকে তোমরা কখনো বানচাল হতে দিও না ।“

৭.যে জাতি লড়াই করতে জানে না,সে জাতির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার থাকতে পারে না“

৮.এম এন লারমার তাঁর শেষ ডায়েরির প্রথম পৃষ্ঠায় লিখেছিলেন-“মহান জুম্ম জনগণের আন্দোলন দীর্ঘজীবি হোক,সারা দুনিয়ার নিপীড়িত জনতা এক হও।জয় আমাদের হবেই হবে।”

তাইতো আজো এই মহান বিপ্লবীর আশা, স্বপ্ন,সাধনা,কর্ম, আমাদের পথ দেখায় নির্যা তিত,নিপীড়িত মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে।এবংমহান নেতার আশার বানী শুনে বলি, জয় আমাদের হবেই হবে।নিপীড়িত জনগণের জয় হবেই হবে।।এবং লারমা ও নিপীড়িত মানুষের ভাগ্যকাশে মুক্তির ধ্রুবতারা হয়ে থাকবেন।

তাই আজ প্রাণপন লড়াই হোক-

 “ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক,সাজেক থেকে চিম্বুক।”

 

 

 

তথ্যসূত্রঃ

১.জীবন আমাদের নয়(পৃষ্ঠা-৩৫০,৩৫১,৩৫২) -সিএইচটি কমিশন।

২.প্রবাহণ (১০ নভেম্বর ১৯৮৩ স্মরনে স্মরণিকা ২০১৩)-পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি;

৩.আদিবাসী বার্তা(১ম বর্ষ,১ম সংখ্যা)

৪.সিএইচটি মিরর প্রকাশনার “পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতীয় অস্তিত্বের সংগ্রাম: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার প্রাসঙ্গিকতা” শীর্ষক প্রবন্ধ

৫.mithunchakma.blogspot.com

৬.Insurgence Crossfire-Subir Bhawmik